অপুষ্টি জনিত সমস্যার যাদুকরী সমধান রয়েছে মরিঙ্গা পাউডার এ

অপুষ্টি জনিত সমস্যার যাদুকরী সমধান রয়েছে মরিঙ্গা পাউডার এ

সজিনা একটি অতিপরিচিত পুষ্টি ও খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ সবজি। সজিনার পাশাপাশি সজনে পাতা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।


জানুন সজনে পাতার উপকারিতা।

সজনে পাতার উপকারিতা: সজনে পাতার বিশেষ উপকারিতা হচ্ছে, এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে, কারণ প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা মনে করেন সজিনার পাতা পুষ্টিগুণের আঁধার। নিরামিষভোগীরা সজিনার পাতা থেকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারেন।

পরিমাণের ভিত্তিতে তুলনা করলে একই ওজনের সজিনা পাতায় কমলা লেবুর ৭ গুণ ভিটামিন-সি, দুধের ৪ গুণ ক্যালসিয়াম এবং দুই গুণ আমিষ, গাজরের ৪ গুণ ভিটামিন-এ, কলার ৩ গুণ পটাশিয়াম বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, সজিনা পাতায় ৪২% আমিষ, ১২৫% ক্যালসিয়াম, ৬১% ম্যাগনোসিয়াম, ৪১% পটাশিয়াম, ৭১% লৌহ, ২৭২% ভিটামিন-এ এবং ২২% ভিটামিন-সি সহ দেহের আবশ্যকীয় বহু পুষ্টি উপাদান থাকে।

এক টেবিল চামচ শুকনা সজিনা পাতার গুঁড়া থেকে ১-২ বছর বয়সী শিশুদের অত্যবশ্যকীয় ১৪% আমিষ, ৪০% ক্যালসিয়াম ও ২৩% লৌহ ও ভিটামিন-এ সরবরাহ হয়ে থাকে।

দৈনিক ২ চামচ সজনে পাতার গুঁড়া একটি গর্ভবর্তী বা স্তন্যদাত্রী মায়ের চাহিদার সবটুকু ক্যালসিয়াম ও আয়রন সরবরাহ করতে সক্ষম। হেলথ ড্রিঙ্ক হিসেবে মরিঙ্গা পাউডার প্রতিদিন পানির সাথে মিশিয়ে খেলে যেসব উপকার পাওয়া যাবে।

১. ওজন কমবে ও নয়ন্ত্রনে থাকবে।

২. ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকবে।

৩. ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে থাকবে।

৪. ইমিউনিটি বাড়বে।

৫. রক্ত পরিষ্কার করে স্কিন ব্রাইট করবে।

সজনে পাতার উপকারিতা:

  • অন্ধত্ব দূর করতে বেশি কার্যকরি এটি।
  • গাজর থেকে বেশি ভিটামিন এ রয়েছে এ পাতায়।
  • সজনে পাতা আ্যনিমিয়া দূর করে।
  • কারণ এতে শাকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি আয়রন রয়েছে।
  • কলা থেকে বেশি পটাশিয়াম আছে সজনে পাতায়।
  • এটি আ্যন্টিএজেন্স হিসেবে কাজ করে।
  • সজনে পাতা হার্ট ভালো রাখে।
  • উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
  • রক্তের সুগার লেভেল কমানোর ফলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
  • মাইক্রো নিউট্রিয়েট নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ডেফিসিয়েন্সি কমায়।
  • কোলস্টরেল কমায়।
  • হজম শক্তি বাড়ায়।